সিকান্দার কা মুকাদ্দর মুভি রিভিউ: নীরজ পান্ডের নেটফ্লিক্স ফিল্ম একটি বিরল সৃষ্টি, যা বলিউডে টুইস্ট এবং শক্তিশালী চরিত্রের উপর নির্ভর করে
সিকান্দার কা মুকাদ্দর মুভি রিভিউ: নীরজ পান্ডের নেটফ্লিক্স ফিল্ম একটি বিরল সৃষ্টি, যা বলিউডে টুইস্ট এবং শক্তিশালী চরিত্রের উপর নির্ভর করে
নীরজ পান্ডের নেটফ্লিক্স হাইস্ট মুভি ‘সিকান্দার কা মুকাদ্দর’ কাহিনি ও অভিনয়ের শক্তিতে উজ্জ্বল। এখানে তারকারা কেবল গল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যান, যেভাবে হওয়া উচিত।
গল্পের সারসংক্ষেপ:
মুম্বাইয়ের একটি বড় জুয়েলারি প্রদর্শনী একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির কেন্দ্রে পরিণত হয়। একটি আতঙ্কিত ফোন কল, গুলির শব্দ, এবং পুলিশের নির্দেশে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই কয়েকটি মূল্যবান রত্ন হারিয়ে যায়।
প্রধান তদন্তকারী জসবিন্দর সিং (জিমি শেরগিল) তিনজন সন্দেহভাজনের দিকে নজর দেন:
- মঙ্গেশ দেশাই (রাজীব মেহতা): দীর্ঘদিনের দোকানের কর্মচারী।
- কামিনী (তামান্না ভাটিয়া): তার সহকর্মী।
- সিকান্দার শর্মা (অভিনাশ তিওয়ারি): একজন কম্পিউটার টেকি, যিনি ঘটনার পর দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন।
তদন্ত যত এগোয়, সন্দেহভাজনরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে থাকে। তারা কি সত্যি নির্দোষ, নাকি অত্যধিক প্রতিবাদ তাদের দোষী প্রমাণ করে?
পর্যালোচনা:
নীরজ পান্ডে, যিনি এই ছবির গল্প রচনায় ভিপুল কে রাওয়ালের সঙ্গে কাজ করেছেন, দর্শকদের জন্য একটি দুর্দান্ত হাইস্ট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন। যদিও ‘হীরের চুরি’ কেন্দ্রবিন্দু মনে হয়, এটি আসলে একটি গভীর চরিত্র বিশ্লেষণ। ছবিটি দুই ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ, কিন্তু এর অপ্রত্যাশিত টুইস্ট এবং সাসপেন্স দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখে।
তবে, গল্পে কিছু অতিনাটকীয়তা ও প্লটের ফাঁকফোকর রয়েছে। কিছু চরিত্রের উন্নয়ন আরও ভালো হতে পারত। কিন্তু প্রতিবার যখন মনে হয় গল্পটি অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, তখনই একটি চমক দর্শকদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনে।
টাইমলাইন এবং চরিত্রের উপস্থাপনা:
ছবির গল্প ২০০৯ সালের হাইস্ট থেকে বর্তমান পর্যন্ত ১৫ বছর ধরে বিস্তৃত। ফ্ল্যাশব্যাকের মাধ্যমে ঘটনাগুলো উন্মোচিত হয়, যা দেখায় কীভাবে একটি ঘটনা জীবনকে অনাকাঙ্ক্ষিত পথে নিয়ে যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে চরিত্রগুলো বয়স্ক মনে হয়, যদিও কিছু মেকআপ বেশ আরোপিত মনে হয়।
অভিনয়:
- জিমি শেরগিল (জসবিন্দর সিং): একজন ব্যর্থ পুলিশ অফিসার, যিনি তার বিশ্বাস থেকে একচুলও নড়েন না।
- তামান্না ভাটিয়া (কামিনী): তার নাচের দৃশ্য ছাড়াও তিনি একটি শক্তিশালী চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
- রাজীব মেহতা: তার সাধারণত পার্শ্ব চরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকলেও, এখানে তার অভিনয় উল্লেখযোগ্য।
- অভিনাশ তিওয়ারি (সিকান্দার): তার চরিত্র গভীর এবং উপভোগ্য, যা তার আগের কাজগুলোর সাফল্যকেও সমর্থন করে।
OTT প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব:
‘সিকান্দার কা মুকাদ্দর’ প্রমাণ করে যে, তারকার চেয়ে গল্প এবং অভিনয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেখায় কীভাবে সঠিক কাহিনি এবং অভিনয়ের মাধ্যমে একটি ছবি এগিয়ে নেওয়া যায়।
মোট কথা, এটি একটি শক্তিশালী প্লট এবং চমৎকার অভিনয়ের মিশ্রণ, যা বলিউডে বিরল। এটি বলিউডের ঐতিহ্যবাহী স্টার-কেন্দ্রিক ছবির ধারণা থেকে ভিন্ন, এবং সেজন্য এটি দেখার মতো।
No comments