হ্যারি ব্রুকের সৌভাগ্য আর সেঞ্চুরি, ফিল্ডিং ভুলে বিপাকে নিউজিল্যান্ড
ইংল্যান্ডের সংগ্রহ: ৩১৯/৫ (ব্রুক ১৩২, পোপ ৭৭) | নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ: ৩৪৮ (উইলিয়ামসন ৯৩, ফিলিপস ৫৮, কার্স ৪/৬৪,
বশির ৪/৬৯)
হ্যারি ব্রুক প্রমাণ করলেন যে সূর্যের আলোয় কাজ করে যাওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি। তার
সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি এবং ষষ্ঠটি বিদেশের মাটিতে—যা দলের জন্য
ছিল অসাধারণ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালের মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে ইংল্যান্ড যখন বিপর্যস্ত, তখন থেকে দুপুরের রোদ ঝলমলে সময়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনা ছিল ব্রুকের অসাধারণ
ইনিংসের কৃতিত্ব।ফিল্ডিংয়ের দুঃস্বপ্ন নিউজিল্যান্ডের
নিউজিল্যান্ডের জন্য দিনটি আরও ভালো হতে পারত, যদি না তারা ফিল্ডিংয়ে একের পর এক ভুল করত। দিনের মধ্যে ছয়টি সহজ ক্যাচ মিস করেছে তারা, যার মধ্যে চারটি ছিল
ব্রুকের ইনিংসে—যথাক্রমে ১৮, ৪১, ৭০ এবং ১০৬ রানে। এসব ভুল নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মনোবল ভেঙে দেয় ঠিক সেই
সময়ে যখন তারা ম্যাচের মোড় ঘোরানোর
সুযোগ তৈরি করেছিল।
ইংল্যান্ডের লড়াই: পোপ ও ব্রুকের জুটি
ব্রুক ও পোপ মিলে পঞ্চম উইকেটে ১৫১ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন। পরে অধিনায়ক বেন স্টোকসের সাথে ব্রুক গড়েন আরও ৯৭ রানের অপরাজিত জুটি। পোপ তার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের পর ভালো ফর্মে থেকে ৭৭ রান করেন, কিন্তু ব্রুকের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি ইংল্যান্ডের রান তোলার মূল চাবিকাঠি হয়ে ওঠে। স্টোকসও দিনের শেষে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
মেঘলা সকালের ধাক্কা
দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের ইনিংস ছিল বিপর্যস্ত। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি মনে হচ্ছিল টালমাটাল অবস্থায়। নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেসার নাথান স্মিথ এক ওভারেই জ্যাকব বেটেল এবং জো রুটকে আউট করেন। স্মিথ তার অভিষেক ম্যাচেই দুই অসাধারণ ডেলিভারিতে ইংল্যান্ডের শিবিরে ধস নামান।
জ্যাক ক্রলিও ব্যর্থ হন, ১২ বল খেলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। বেঙ্কার শট খেলতে গিয়ে তিনি ম্যাট হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হন।
ব্রুকের ভাগ্য এবং দৃঢ়তা
কিন্তু হ্যারি ব্রুক ঠিকই সামলে নেন। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সুইং এবং বাউন্সের বিরুদ্ধে সাবলীল ব্যাটিং করে যান। দিনের প্রথম চার ক্যাচ মিসে তিনি নতুন জীবন পান এবং শেষ পর্যন্ত ১৩২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা এবং ১৫টি চার।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের বাকি কাহিনি
এর আগে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৮ রানে শেষ করে। কাইন উইলিয়ামসনের ৯৩ এবং গ্লেন ফিলিপসের অপরাজিত ৫৮ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। ক্রিস ওকস এবং ব্রাইডন কার্সের সুইং বলিং নিউজিল্যান্ডের শেষের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত ফেরত পাঠায়।
পরিস্থিতি এখন কার দখলে?
ইংল্যান্ডের দৃষ্টিকোণ থেকে দিনটি শেষ হয়েছে ইতিবাচকভাবে। নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডিং ভুল তাদের জন্য ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে। তবে এই পিচে ভালো বোলিং এবং ক্যাচ ধরার সামর্থ্য থাকলে, ইংল্যান্ড আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে পারবে।
No comments