ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উত্তরাধিকার মোজতবা খামেনি নেতৃত্বে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পরিবর্তন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উত্তরাধিকার মোজতবা খামেনি নেতৃত্বে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পরিবর্তন
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, যিনি বর্তমানে ৮৫ বছর বয়সী এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ, গোপনে তার পুত্র মোজতবা খামেনিকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নেতৃত্বে পরিবর্তন
ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে ইরানে উদ্বেগ দেখা দেওয়ার প্রেক্ষিতে, ইরানের ভবিষ্যত নেতৃত্ব ও শাসন ব্যবস্থার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে। গোপনে নেয়া এই সিদ্ধান্ত ইরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত এবং দেশজুড়ে কৌতূহল ও অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে।
গোপনীয় এই উত্তরাধিকার প্রক্রিয়া ইরান এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। খবরে বলা হয়েছে, আয়াতুল্লাহ খামেনি নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করেছেন এবং হুমকি ব্যবহার করেছেন। এমনকি তার শারীরিক অবস্থা এতটাই গুরুতর যে তিনি কোমায় চলে গেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, যদিও এটি নিশ্চিত নয়। মোজতবা খামেনিকে উত্তরসূরি মনোনীত করা, ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ স্থানান্তরের নিশ্চয়তার একটি প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা অভ্যন্তরীণ বিভক্তি এবং ক্ষমতার লড়াই রোধ করবে বলে ধারণা।
মোজতবা খামেনির ভূমিকা
সর্বোচ্চ নেতার দ্বিতীয় পুত্র মোজতবা খামেনি দীর্ঘদিন ধরে পছন্দের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যদিও তিনি উচ্চ পর্যায়ের কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না, সম্প্রতি তাকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গত দুই বছরে, আয়াতুল্লাহ খামেনি তাকে অনেক অভ্যন্তরীণ সরকারি দায়িত্ব দিয়েছেন।
মোজতবার উত্থান বিতর্কিত। জনজীবনে তার তুলনামূলক নিম্ন প্রোফাইল থাকা সত্ত্বেও তিনি তার পিতার মতোই কঠোর রক্ষণশীল। ১৯৮০-এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের অংশগ্রহণ এবং ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্ট বিক্ষোভ দমনে তার ভূমিকার কারণে তিনি একজন কঠোরপন্থী হিসেবে পরিচিত।
রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া
মোজতবা খামেনির নেতৃত্বে ইরানের বর্তমান নীতি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কঠোর অবস্থান বজায় রাখা, আঞ্চলিক প্রভাব বাড়ানো এবং পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নেয়া তার নেতৃত্বে অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে এই গোপনীয় প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছতার অভাব ইতোমধ্যেই ইরানে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। ঘোষণা পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেনির পোস্টার পোড়ানোর মতো ঘটনার মাধ্যমে জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।
মোজতবার নেতৃত্ব শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোজতবা খামেনির ভূমিকা
সর্বোচ্চ নেতার দ্বিতীয় পুত্র মোজতবা খামেনি দীর্ঘদিন ধরে পছন্দের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যদিও তিনি উচ্চ পর্যায়ের কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না, সম্প্রতি তাকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গত দুই বছরে, আয়াতুল্লাহ খামেনি তাকে অনেক অভ্যন্তরীণ সরকারি দায়িত্ব দিয়েছেন।
মোজতবার উত্থান বিতর্কিত। জনজীবনে তার তুলনামূলক নিম্ন প্রোফাইল থাকা সত্ত্বেও তিনি তার পিতার মতোই কঠোর রক্ষণশীল। ১৯৮০-এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের অংশগ্রহণ এবং ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্ট বিক্ষোভ দমনে তার ভূমিকার কারণে তিনি একজন কঠোরপন্থী হিসেবে পরিচিত।
রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া
মোজতবা খামেনির নেতৃত্বে ইরানের বর্তমান নীতি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কঠোর অবস্থান বজায় রাখা, আঞ্চলিক প্রভাব বাড়ানো এবং পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নেয়া তার নেতৃত্বে অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে এই গোপনীয় প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছতার অভাব ইতোমধ্যেই ইরানে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। ঘোষণা পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেনির পোস্টার পোড়ানোর মতো ঘটনার মাধ্যমে জনগণের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।
মোজতবার নেতৃত্ব শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments